শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: সিলেটের নান্দনিক এমসি কলেজ ছাত্রাবাস প্রায় ৪ বছর পর শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে। আগামী মাসের শুরু থেকেই এ ছাত্রাবাস ফের শিক্ষার্থীদের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠবে। প্রায় দুবছর আগে এই ছাত্রাবাসটি উদ্বোধন হয়েছিল। কিন্তু গ্যাস সংযোগ ছিল না। অবশেষে গ্যাস সংযোগের পর ছাত্রাবাসটি খুলে দেয়া হচ্ছে। ২০১২ সালে ছাত্রলীগ ও শিবির সংঘর্ষের পর ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়া হয়েছিল। আর ওই আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় আলোচিত ছাত্রাবাসটি। ছাত্রাবাসের আগুন দেয়ার ঘটনায় আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রীও। সিলেটবাসীর মধ্যেও ক্ষোভ বিরাজ করে। আগুনে ছাত্রাবাসের তিনটি ব্লকের ৪২টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ছাত্রাবাসের ৭০টি কক্ষ। ঘটনার পর পুড়ে যাওয়া ছাত্রাবাসের স্থলে পুরনো আদলেই (বৃটিশ স্থাপত্যশৈলী ‘সেমিপাকা আসাম’ কাঠামো) নতুন করে ছাত্রাবাস নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালের ৫ই ডিসেম্বর ছাত্রাবাস সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আগুন দেয়ার ঘটনায় ছাত্রাবাস পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার কাজে ব্যয় হয় প্রায় ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ২০১৪ সালের ১৪ই অক্টোবর ছাত্রাবাসটির সংস্কার শেষে পুনরায় উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের কাছে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের ৯ লাখ টাকা বকেয়া থাকায় তারা ছাত্রাবাসে নতুন করে গ্যাস সংযোগ প্রদান করেনি। ফলে শিক্ষার্থী ওঠানো সম্ভব হয়নি। তবে সম্প্রতি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, সিলেট ওই বকেয়া বিল পরিশোধ করায় ছাত্রাবাসটি খুলে দেয়ার পথ সুগম হয়। পরে ছাত্রাবাসের জন্য শিক্ষার্থী উঠাতে পদক্ষেপ নিতে শুরু করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে প্রকাশ করা হয় বিজ্ঞপ্তি। এরপর ছাত্রাবাসে থাকতে ইচ্ছুক আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধা তালিকানুসারে ২৪৪ জনকে নির্ধারণ করা হয়। গত ১৯শে সেপ্টেম্বর এসব শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ছাত্রাবাসের ৬টি ব্লকে এসব শিক্ষার্থী ওঠানো হবে। ২৬শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনোনীত শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করতে হবে। কলেজের অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র জানিয়েছেন, মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখন ছাত্রদের হোস্টেলে তোলার প্রক্রিয়া চলছে।